জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ। ১৯৪৮ সালে ১০ ডিসেম্বরকে জাতিসংঘ মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করেন। এই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব বানকি মুন পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এবারের মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘‘মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্ব সংলাপ’’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উৎযাপন করবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সারাদেশে এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালী, মানববন্ধন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা সভা ও স্মরণিকা প্রকাশ। এ ছাড়াও রয়েছে রক্তদান কর্মসূচি রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করে তার মধ্যে রয়েছে সকাল ১১টায় মানবাধিকার কমিশনের র্যালী শহীদ মিনার থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন। বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মহানগরী মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার উদ্যোগে তাদের বনানী ক্যাম্পাসে বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (রামাসপ) এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এদিকে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি সোসাইটি এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এদিকে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনার আয়োজন করেছে। এছাড়া সারাদেশে জেলা উপজেলা ও শহরাঞ্চলে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে।